গোলাম মোস্তফা নিজস্ব প্রতিবেদক
‘দেশে ভোজ্য তেলের বাজারে বার বারই আগুন, অন্যদিকে চালের বাজারেও অস্থিরতা জনজীবনে দুর্ভোগ বয়ে নিয়ে আসে। লাফিয়ে-লাফিয়ে বৃদ্ধি পায় ভোজ্য তেলের মূল্য। আবারো ভোজ্য তেলের মুল্য ১৪টাকা বৃদ্ধির ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত প্রমান করে সরকারের চাইতে লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অনেক বেশী শক্তিশালী’ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ভোজ্য তেল ও চাল নিয়ে তেলেসমাতি বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেও ভোজ্য তেলের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ। আবারো ১৪ টাকা মুল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে স্পষ্ট সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। সিন্ডিকেটদের কাছে সরকার অসহায়। দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে জনগনের পকেট কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত, কোনো লুটেরা ব্যবসায়ারীরা সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না। তারা শুধু লুট করতে চান। ভোজ্যতেল সিন্ডিকেট সরকারের দুর্নীতিবাজদের সমর্থন নিয়ে তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেই চলেছেন। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা জনগণের পক্ষে থাকবে নাকি লুটেরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ নেবে।
তারা বলেন, সয়াবিন তেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৪ টাকা এবং বাজারে চালের দাম মূল্য বৃদ্ধির সরকারের এ সিদ্ধান্তে সৃষ্ট জনদুর্ভোগকে আরও বেশি ত্বরান্বিত করবে। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বৃদ্ধি ও গত কয়েকদিন ধরে চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা জনদুর্ভোগকে আরও বেশী জটিল করছে। লক্ষণীয় যে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিগত রমজান মাস থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও শাক-সবজির দাম স্থিতিশীল থাকায় জনমনে স্বস্তি বিরাজ করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে এমন মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এরইমধ্যে সৃষ্ট জনদুর্ভোগকে আরও বেশী তরান্বিত করবে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির। ফলত, হঠাৎ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি তাদের দৈনন্দিন জীবনে চাপ তৈরি করছে। আমরা মনে করি, শুধু ব্যবসায়ীদের দাবিতে নয়, বরং ভোক্তা সংগঠন ও শ্রমজীবী নাগরিকের মতামত ও অংশগ্রহণের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণই হবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও ন্যায্য।